হাসান আজিজুল হকের গল্প
হাসান আজিজুল হকের গল্প সরল হিংসা মেয়েটি ঘণ্টাখানেক ধরে ফুটপাতে একটি গাছের নিচে বসে আছে। আজ সন্ধ্যাবেলা থেকে দুবার ক্ষতি
Read Moreহাসান আজিজুল হকের গল্প সরল হিংসা মেয়েটি ঘণ্টাখানেক ধরে ফুটপাতে একটি গাছের নিচে বসে আছে। আজ সন্ধ্যাবেলা থেকে দুবার ক্ষতি
Read Moreবড়শি ফেলে বসে আছে সবুজ। আজকে ওর কাছে বল্লার চাক ভাঙা টোপ, তুলতুলে শরীরকে এ ফোড় ও ফোঁড় করে বড়শিতে
Read Moreশহীদুল জহিরের গল্প আগারগাঁও কলোনিতে নয়নতারা ফুল কেন নেই আবদুস সাত্তার বাসায় ফিরছিল; তালতলায় বাস থেকে নেমে বিকেলের নরম
Read Moreআলাউদ্দিন আল আজাদের গল্প জলটুঙি অবিশ্রাম, দেয়াল ঘড়িটাও শব্দ করে চলে, টক্ টক্ টক্ টক্। সে আসবে। সে আসবে আজ
Read More“তুর গতর টোয় আর আগের মত মজ নাই রে, দিখলে খিদা লাগেক লাই বটে|” ডগরের দড়ি পাকানো, বিবস্ত্র দেহ টাকে, বিছানায় একপাশে ফেলে, গা ঝাড়া দিয়ে উঠে পরে “দেবু সারেন”| তাঁর বলিষ্ঠ সুঠাম দেহে, কাষ্ঠল পেশীগুলো ক্রমশঃ ফুটে উঠতে থাকে, যেন মদন মোহন মন্দিরের গায়ে, বিষ্ণুপুরী টেরাকোটা ভাস্কর্য| ডগর তখনও পরে থাকে একে বেঁকে, যেন আস্ত একটা কালাচ সাপ, ঘন শীতের, অপাংক্তেয় সূর্য্যের আলো থেকে সরে গিয়ে, কুন্ডলী পাকিয়ে চলে গেছে, মোক্ষম এক শীত ঘুমে| দেবু সম্পর্কে ডগরের ভাসুর হয়| ওর মরদটা পাগল হয়ে ঘর ছেড়েছে বছর দশেক হলো| শেষবার পাড়ার লোকে জঙ্গলে যেতে দেখেছিল| সময়টা দিন আর সন্ধ্যের মাঝামাঝি| সমস্ত জঙ্গল জুড়ে তখন রং লেগেছে| মেরুদন্ড বেয়ে, শব্দ তোলা চরম শ্বাসে, বড় বড় পলাশ গাছগুলোতে, আকাশ কুসুম দোল দিচ্ছে| ঠিক যেরকম একদিন, দোলায় চেপে, মরদের হাত ধরে, দুলতে দুলতে, ডগর শ্বশুর বাড়ি এসেছিল, দলমা র শরীরের, যাযাবরী মজ্জার পার্বত্যপথ পেরিয়ে| সেও ছিল, কোন এক জন্মান্তরের সময়, শীতের শেষ, বসন্তের শুরু| মরদ টা ছেড়ে যাবার পর থেকেই, ডগর দেবুর সাথে শোয়, দেবুই ওকে ডেকেছিল একদিন| লোভী পায়ে এগিয়ে গিয়ে, প্রায় লোহা হয়ে যাওয়া শরীরের, বিবর বেয়ে চুঁয়ে পরা, মসৃণ স্বেদ চেটে নিয়েছিল ডগর, তার শ্রীহীন জিভ টা দিয়ে| যৌবনের অমেধ্য কাঁটা তারে, কৃষ্ণবেনী এক সাঁওতাল তরুণীর, অনতিক্রম্য মেয়েলী লাবণ্য, পিষে গিয়েছিল, দেবুর ভীমসম, উষ্ণ মর্দনে| অথচ প্রথমে, দেবু ডগরকে, নিজের ছোট ভাইয়ের বৌয়ের চোখেই দেখত| এ যেন এক নির্বাণী অজাচার| জঙ্গলে পূর্ণিমা হলে, যেমন রাতের শেষ টুকু, ডুব দেয় গর্ভবতী কাঁসাইয়ের কোলে, সেইরকম বাসি
Read Moreলোকটার দিকে তাকিয়েই ঈর্ষায় বুকটা জ্বলে যায় সোবহান সাহেবের। অধ্যাপক আব্দুস সোবহান। জার্মানির নাম করা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি বোগলদাবা
Read More