প্রচ্ছদসাহিত্য

নিমাই জানার পাঁচটি কবিতা

নীলাভ স্বরযন্ত্র ও আদিম জানালার শুক্রাণু সমগ্ৰ

আমাদের স্বরযন্ত্রের কাছে ১১ জন পরীক্ষিত পুরুষ মুক্ত উপবৃত্ত নিয়ে বসে আছেন মৃত সাপের খন্ডগুলি নিয়ে, এই হিমালয় পললের ভেতর থাকা জীবাশ্মেরা আদিম ধনুকতন্ত্র রেখে যায় বাণপ্রস্থ মানুষদের জন্যমৃত্যুর দৈর্ঘ্য বেড়ে গেলে সব জানালাগুলো পাখি হয়ে উড়ে যায় মৃত্যুহীন ব্যবচ্ছেদ ঘরের দিকে পালকহীন পাখিরা শ্মশানের মধ্যমার ওপর বসে থেকে শুধু ত্রিশূল মানুষদের নির্ণয় করে চলে অবিভাজিত গুণক সাংখ্যমানের লাল রক্তাক্ত প্লাজমা খন্ডক গুলো দিয়ে একটি ঘোড়া মধ্যরাতে তার সব শুক্রাণু ফেলে আসতে পারে না ট্রিটিয়াম তেজস্ক্রিয় এক মূর্ধন্য বর্ণের উপরমাইকোনাজল চোখের কাছে এক একটা হলুদ ঘুম রোগের ঔষধ লুকানো থাকে, বাবা যাকে জোড় কলমের চারাগাছ বলে কীটনাশক ঘোরে লাগিয়ে দিচ্ছে সবেদা গাছের মাথায় আমি শুধু বিকোসুল সি জেড এস রঙের এক অন্ধকারকে আমার ছায়ার কাছে দাঁড়িয়ে গলাধঃকরণ করি তৃতীয় নারীদের জন্য , চোখ আছে অথচ অদ্ভুত বৈষ্ণব লিথিয়াম চৈতন্য তার সারা শরীরে, মায়ের মৃত্যুর আগ্নেয় শিলাটি বারবার পৃথিবীর অভ্যন্তরে চলে যেতে চাইছে,  আমি তার পাশে কুরুক্ষেত্রের শাঁখ বাজালাম মধ্যরাতে উঠে তৃণভোজী খাদক হয়ে যায়,  চাঁদ একাকী বিষুব ঘরের অবৈধ রামচন্দ্র বল হয়ে গেল

 

যুবতী রঙের শিউলিপুর ও পরাশ্রয়ী সন্ন্যাসীরা

মিউসিলেজ কাঁটা কম্পাসের জ্যামিতিক নদী গুলো প্রকৃত ভগ্নাংশের কর্ণ কুহরের ভিতর ঢুকে যাচ্ছে কালিদহের একটি হলুদ নাবালিকা রোদের মতো, শঙ্খদীপ সাঁকো পেরিয়ে যাচ্ছে একটি যুবতী রঙের শিউলিপুর পিঠের কাছে ঝুলিয়ে রাখার পর ষষ্ঠদশ বছর পরেও অমরাবতীর বিরজা নারীরা নগ্ন হয়ে পরাশ্রয়ী অক্ষর সন্ন্যাসীর জন্য তর্পণ ছেড়ে যাচ্ছেন, আমাদের তখন দ্বারোকা নগরীর জন্য ভ্রুণময় অবাধ্য সংলাপ চলছে একত্রিশতম হস্তিনাপুরের জন্য, আমি বরফ কুচির ভিতরে থাকা নীল অপরাজিতা ফুলের গর্ভকেশর দিয়ে একটি ফিনিক্স পাখির মৃত জরায়ু আঁকছি।

নীল সেন্ট্রিওল বিশিষ্ট এক অবৈধ রাতের নপুংসক চাঁদ গুলো তেরো জোড়া ভূমধ্যের ভেতরে থাকা তপস্যা কেন্দ্রের নিগুঢ় মায়া বন্দরের জন্য শীঘ্রপতন ঘটিয়ে যাচ্ছে আদিম লৌহ পাথরের মানুষ আমিই অশ্বত্থামা পুরুষ,  উত্তরা, আমিই ব্যাসদেব, উন্মাদ, পরীক্ষিৎ, আমিই জন্মেঞ্জয় শুধু গলিত সাপ ভক্ষণ করছি মধ্যরাতে থকথকে জিভের গোড়া থেকে একটি প্লাসমোডিয়াম চোখ বেরিয়ে আসা সাপের গলিত জননতন্ত্রের মতো, আমার গণিতের ভেজা জলপট্টি টি প্রতিটি শুক্রাণুর মতো পিচ্ছিল হতে হতে আমার গলার চারপাশের নীল সাপ হয়ে গেল একটি ঝুলন্ত ইস্ট্রোজেন নারী নিউক্লিয়াস আঁকছে।

 

বিষল্যকরণী বাজলেই নারীরা সাইট্রিক হয়ে যায়

মধ্যরাতে কেউ কেউ বিশল্যকরণী বাঁশিটি বাজায় মৃত্যুকে পুষে রাখার জন্য, বলরাম পুরোহিত এক জানকীর সন্ধানে নেমে সব গ্রাফাইট চোখের মৃত্যু ভগ্নাংশ এঁকে দিল উর্ধ্ব মহাশিরার নিচে থাকা নীল কপোতাক্ষ রঙের সরীসৃপ পাখিটির মাথায়, অটোরিন টেন আসলে একটি সমভূমি ক্ষেত্রের মহা ঋষির নাম আমরা তখন দরজার কাছে চম্পক পুরুষ খুঁজে নিচ্ছি বৈধ সহবাসের জন্য, হলুদ পাঁজরের ভেতর নীল সরীসৃপেরা সাইট্রিক ফল চিবিয়ে খাচ্ছে ভ্রম লুকিয়ে ফেলার জন্য এখানে কোন পাঞ্চজন্য বেজে ওঠেনি গভীর রাতের ফিজিওলজিক মায়াবী ঘরের ব্রহ্মস্থ বৃত্তচাপের ধনুকে, রবি মালাকার এখনো আচমন ছেড়ে  কেমোথেরাপির চোখগুলোকে পুড়িয়ে ফেলছে মোমবাতি রঙের ত্রিশূল দিয়ে সিফিলিস রোগাক্রান্ত দ্যা ভার্জিনিটি কোয়ান্টাম কক্ষের ক্লিনিক্যাল  সাইকোলজিস্ট ১৩ টি আকন্দ ফুলের চাষাবাদ করে যাচ্ছেন, আমি শুধু মধ্যরাতের ব্ল্যাক হোল সত্য ভূখণ্ডে নেমে শিঙ্গা বাজাতে বাজাতে অচৈতন্য হয়ে যাই, লৌহ খণ্ডকের এক ফসফরিক অগ্নি বলয়ের দিকে চলে যাই রুদ্রময় উত্তপ্ত অসুখ গুলো সারা গায়ে ছড়িয়ে, নৈমিষারণ্যের ঘোড়াটি উৎকৃষ্ট অবতল মাঠে বিরতি নিচ্ছে  ১৩ জোড়া অবৈধ কেশর নিয়ে, যৌন সংক্রমণ আর কিছু নয় তিনটি লজ্জাবতী গাছের পুরুষ ফুল মাত্র।

 

অসদ বিম্বের  মৃৎশিল্পী ও মিথাইল আর্তনাদ সমগ্ৰ

যমুনার মায়া জলে ১৩ টি শ্রী রাধা খোল ও মঞ্জুরি বাজাতে বাজাতে আমাদের তৃতীয় আর্তনাদ শেষ হয়ে গেল, বীর্যপত্রের ভেতরে শ্রী অসুখ বেজে উঠছে, আমরা তখন মৃত্তিকা লুকিয়ে সমুদ্র গুপ্ত হতে চাইছি একটি নীল স্বৈরাচারী পুরুষ রাতের মৃত আত্মাদের নিয়ে যৌন ক্ষেতে কার্পাস তুলো বীজের চাষাবাদ করছে অক্ষয় রঙের নয়ন তারা ফুলের বিভূতি জননতন্ত্র দিয়ে গভীর আর্তনাদ আর কিছু নিভৃত বীজপত্রের ভেতর ১০ বছরের সত্যযুগ নিয়ে শ্রীকৃষ্ণ ভূমিতে মিলিয়ে দিচ্ছে সংকীর্তন মহাকাল। বিছানায় যে রঙিন সাতটি সাপ অসদবিম্বের মতো নৌকা বিহার করে যায় তার গায়ে মিথাইল কোবালামিন চোখ এঁকে দিয়েছে সনাতন দাস অধিকারী নামক এক অবকল মৃৎশিল্পী হিমোগ্লোবিনময় চোখের ভেতর যে ক্ষয়জাত ভূমি লুকিয়ে থাকে আমি তার ভেতর এক রক্ত সঞ্চালনের আগুন, অস্থি খন্ড আর ঘোড়াদের প্রাগৈতিহাসিক অস্ত্র কথা লিখে রাখি আলতামিরার গুহাপত্র দিয়ে ইলোরায় প্রতিদিন আমার বাবা অজয় নদীতে মেতে উঠে আমারই ভগ্নাংশের মেঘগুলোর জড়োয়া মৃত শঙ্খযোগ সাপেদের নিয়ে।

 

ইছামতি নারী ও আমার বীজগাণিতিক বাবা

বীর্যপত্রের মতো সরলবর্গীয় সাপেরা পশ্চিমবাড়ের একটি অন্তর্বাসহীন আপের ফল কিনে রেচনতন্ত্রের ভিতর লুকিয়ে রাখে চন্দ্রভাগা নারীদের জন্য ১০বছরের সত্যযুগ নিয়ে আমি শ্রীকৃষ্ণ ভূমিতে পৌঁছতে পারলাম না এখনো , দ্বাপর রঙের একটি পলাশ বৃন্তে  সারাদিন উচ্চাঙ্গ সংগীত গেয়ে যায় আমাদের তখন বৈকন্ঠ রোগের এক তৃতীয়াংশ মৈথুন সঙ্গম ঘটে চলেছে অভেদ রাশির ওপর চকচক করে নেমে আসছে একাকী নিউটন আর কিছু পঞ্চম পৃথিবীর ইথাইল মাদক সমগ্র কথা।

অন্ধকার নেমে এলে আগ্নেয় শিলাখণ্ডের কাছে আমরা বারবার নির্লিপ্ত হয়ে উঠি ,  ইছামতি নারী বীজগাণিতিক মৃতদেহ গুলোকে প্রণব শরীর দিয়ে দ্বিখন্ডিত করছে এসো সনাতন,  আজ কিছু সবুজ জনপদে আগুনের বাবলা গাছ লাগিয়ে দিই পশ্চাৎ মস্তিষ্কের কাছে,  হলুদ ঘৃতাহুতি, ও অতি পুরুষেরা ক্ষমা করছে গান্ধারীকে তৃতীয় পৃথিবীর অতৃপ্ত পুরুষ অভিশাপ দিচ্ছেন আমরা ক্রমশ গলিত অষ্টম অবতার হয়ে যাচ্ছি, এই ডুয়ার্সের হলুদ পোতাশ্রয় অভয়ারণ্যে বিষাক্ত সাপেরা হারিয়ে যাচ্ছে দশমটি খন্ডের মতো এক নীলাচলের আদি মোহরে ঢুকে ১৩জোড়া শ্বেত রক্তকণিকার পালক পুড়ে যাচ্ছে অমরাবতী জলাশয়ের দিকে মুখ করে, সকলেই ঋ কার চিহ্নটিকে ব্রহ্ম তালুতে রাখে ভয়ার্ত হরিণের মতো মাছের আজ ঋতুস্রাব ঘটিয়ে গেল মিথুন অন্ধকারে, মেটাফোর হয়ে উঠছে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য।

 

আরও পড়ুন- সেঁজুতি জাহানের কবিতা

error: Content is protected !!